প্রাথমিক শিক্ষাক্রম কি?
সাধারণত একটি শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষার মান নির্ভর করে এর শিক্ষাক্রম, শিক্ষাদানের পদ্ধতি, পঠন, পাঠন সামগ্রী, শিক্ষকদের বিভিন্ন ধরনের প্রস্তুতি, একাগ্রতা ইত্যাদি উপর। তবে প্রাথমিক শিক্ষাক্রমই হচ্ছে একটি শিক্ষা ব্যবস্থার হৃৎপিন্ড। এ শিক্ষাক্রমকে কেন্দ্র করেই শিক্ষা ব্যবস্থার বিভিন্ন অঙ্গের কর্মকান্ড পরিকল্পিত ও পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রাথমিক শিক্ষাক্রম হল শিক্ষার মূল পরিকল্পনা।ইহা বাস্তবায়নের জন্য বিদ্যালয় কর্তৃক পরিকল্পিত এবং পরিচালিত যাবতীয় শিখন-শেখানো কার্যাবলি। যা বিদ্যালয়ের ভিতরে বা বাইরে দলগত কিংবা এককভাবে সুসম্পন্ন করা হয়। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে প্রাথমিক শিক্ষা স্তরের যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম প্রণয়নের কাজ শুরু হয়। আর এই যোগ্যতাভিত্তিক শিক্ষাক্রম দেশব্যাপী প্রবর্তনের কাজ আরম্ভ করা হয় ১৯৯২ সালে।
![]() |
প্রাথমিক শিক্ষাক্রম |
ইহা সর্বপ্রথম প্রথম শ্রেণীতে এবং পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে পঞ্চম শ্রেণীতে সম্পন্ন হয় ১৯৯৬ সালে। আর এই ধারাবাহিকতায় প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম খুব দ্রুত উন্নতির পথ ধরে এগিয়ে চলেছে। সর্বশেষ ২০০৯ সাল থেকে প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষাসহ সমগ্র প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম সৃজনশীল বিন্যাসের মাধ্যমে আধুনিকতম স্তরে রূপায়িত করা হয়েছে।
আর এ দেশের অধিকাংশ শিশুর জন্য প্রাথমিক শিক্ষাই যেহেতু প্রান্তিক শিক্ষা সেহেতু পরিমাণগত ও গুণগত উভয় দিকেই সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রা অর্জন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ রাখছে। আমাদের দেশের সংবিধানের ১৭ (ক) ধারা অনুসারে সরকার কর্তৃক আইনের মাধ্যমে স্থিরিকৃত প্রাথমিক শিক্ষা লাভ প্রত্যেক বাংলাদেশী নাগরিকের একটি মৌলিক অধিকার।
আর তাই ১৯৯২ সনে আইন প্রণয়ন করে প্রাথমিক শিক্ষাকে দেশের সকল শিশুর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।